ইমোশন শব্দটির সাথে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত। এই ইমোশন শব্দটি ল্যাটিন শব্দ "ইমোভার" থেকে এসেছে। প্রতিটি ব্যক্তির দুই ধরণের ইমোশন থাকে! পজেটিভ এবং নেগেটিভ। হাঁসি, আনন্দ, উচ্ছ্বাস এগুলি পজেটিভ ইমোশন। আর রাগ, হিংসা, বিদ্বেষ, কান্না এগুলি নেগেটিভ ইমোশন।
আমাদের সবাইকে কম-বেশি রাগতে দেখা যায়! আবার এটি কোয়াইট ন্যাচারাল! একেক জনের এক্সপ্রেশন আবার একেক রকম! আবার প্রকাশের ধরণও ভিন্ন হয়। এটিকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, আবার কেউ পারেন না!
মাঝে মাঝে এই রাগ আবার ভয়ংকর রূপও নেয়! যাঁরা চট করে রেগে যান তাদেরকে আমরা বলি মাথা গরম! কেউবা এতটাই রাগ করেন যে, তার তাৎক্ষনিক বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে পারিপার্শ্বিকতা থেকে নিজেকে শামুকের মতো গুটিয়ে নেন! অনেকে অতিরিক্ত রেগে যেয়ে গালাগালি, মারামারি, বিভিন্ন ধরনের জিনিস ভাংচুর করে থাকেন! বিশেষ করে কাঁচের জিনিস।
এই যে একেক জনের রাগ একেক রকম, তার মূলে রয়েছে :
১। জেনেটিক প্রভাব (যা কিনা বংশ থেকে প্রাপ্ত)
২। পারিবারিক বা পারিপার্শ্বিক প্রভাব
৩। সামাজিক প্রভাব
১। জেনেটিক প্রভাব (যা কিনা বংশ থেকে প্রাপ্ত)
২। পারিবারিক বা পারিপার্শ্বিক প্রভাব
৩। সামাজিক প্রভাব
জটিলতাপূর্ণ পরিবার ও বাবা-মার অশান্তিময় দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক সন্তানের অন্যান্য আচরণ বৈকল্যের পাশাপাশি রাগের প্রকাশভঙ্গিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলে!
যে সব কারণে রাগের প্রকাশ ভিন্নতর হতে পারে, সেগুলি যেমনঃ অর্থনৈতিক দূরবস্থা, পেশাগত ঝামেলা, অবজ্ঞা-অবহেলা, ডিভোর্স, অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া, বেকারত্ব, অনিদ্রা, ক্ষুধা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ-বালাই, অসুখী দাম্পত্য জীবন, ভূল-বোঝাবুঝি, হিংসা ইত্যাদি।
রাগের প্রতিক্রিয়ায় আমরা দেখি, হার্টের গতি বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, শরীরে অনেক সময় কম্পনের সৃষ্টি হয়, মাথা ব্যথা করে, মস্তিষ্কের শিরা উপশিরায় চাপ পড়ে, এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে!
রাগের প্রকাশের সময় আমাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না! তাই আমাদের কন্ঠস্বর উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যায়, সাধারন জ্ঞান লোপ পায়, লজ্জাও কমে যায়! অনেক সময় আক্রামণাত্মকও হয়ে উঠি।
যে সব কারণে রাগের প্রকাশ ভিন্নতর হতে পারে, সেগুলি যেমনঃ অর্থনৈতিক দূরবস্থা, পেশাগত ঝামেলা, অবজ্ঞা-অবহেলা, ডিভোর্স, অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া, বেকারত্ব, অনিদ্রা, ক্ষুধা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ-বালাই, অসুখী দাম্পত্য জীবন, ভূল-বোঝাবুঝি, হিংসা ইত্যাদি।
রাগের প্রতিক্রিয়ায় আমরা দেখি, হার্টের গতি বৃদ্ধি পায়, রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়, শরীরে অনেক সময় কম্পনের সৃষ্টি হয়, মাথা ব্যথা করে, মস্তিষ্কের শিরা উপশিরায় চাপ পড়ে, এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে!
রাগের প্রকাশের সময় আমাদের হিতাহিত জ্ঞান থাকে না! তাই আমাদের কন্ঠস্বর উচ্চমাত্রায় পৌঁছে যায়, সাধারন জ্ঞান লোপ পায়, লজ্জাও কমে যায়! অনেক সময় আক্রামণাত্মকও হয়ে উঠি।
এত কিছু হওয়ার পেছনে কিন্তু আমাদের ব্যক্তিত্ব বা পার্সোনালিটির ভূমিকা রয়েছে। যেমন,
সিজোরয়েড পার্সোনালিটিঃ
এরা আত্মকেন্দ্রিক, এদের লোকজনের সাথে অতো মেলামেশা বা বনিবনা নেই। আন্তরিকতার অভাবে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৈরী হয়না। রসবোধের অভাবে এরা সহজেই মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে! এই ধরণের ব্যক্তির অনেক রাগ থাকে, এরা সহজেই রেগে যেতে পারে!
এরা আত্মকেন্দ্রিক, এদের লোকজনের সাথে অতো মেলামেশা বা বনিবনা নেই। আন্তরিকতার অভাবে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৈরী হয়না। রসবোধের অভাবে এরা সহজেই মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে! এই ধরণের ব্যক্তির অনেক রাগ থাকে, এরা সহজেই রেগে যেতে পারে!
এন্টি সোশাল পার্সোনালিটিঃ
এরা খুব অল্প বয়স থেকেই অপরাধ প্রবণ, বদরাগী স্বভাবের, বেপরোয়া, কলহ প্রবণ, নেশা দ্রব্যের প্রতি আসক্ত হয়ে থাকে। এরা সব সময় রাগের যাতনায় ভুগতে থাকে। সহজেই রেগে যায়, এবং সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে!
এরা খুব অল্প বয়স থেকেই অপরাধ প্রবণ, বদরাগী স্বভাবের, বেপরোয়া, কলহ প্রবণ, নেশা দ্রব্যের প্রতি আসক্ত হয়ে থাকে। এরা সব সময় রাগের যাতনায় ভুগতে থাকে। সহজেই রেগে যায়, এবং সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে!
আবার কিছু কিছু ব্যক্তি এমনিতেই ক্ষ্যাপাটে ধরনের হয়।
এরা কোন কিছুই সহজে এক্সেপ্ট করতে পারে না! আবার অনেক কিছুতেই ভীত হয়ে পড়ে! ছোট খাঁটো ভুলে দিশা হারিয়ে ফেলে! আবেগ প্রবণ, রাগ প্রবণও হয়!
এরা কোন কিছুই সহজে এক্সেপ্ট করতে পারে না! আবার অনেক কিছুতেই ভীত হয়ে পড়ে! ছোট খাঁটো ভুলে দিশা হারিয়ে ফেলে! আবেগ প্রবণ, রাগ প্রবণও হয়!
এখন কি ভাবে আমরা আমাদের রাগটা কমাবো!
কমাবার জন্য প্রথম যে জিনিসটা দরকার তা হলঃ
প্রথমতঃ আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আত্মসচেতনতা
দ্বিতীয়তঃ কথাবার্তা বলা
তৃতীয়তঃ পত্রিকা বা ম্যাগাজিন পড়া
চতুর্থতঃ পছন্দমত সুন্দর সুন্দর জিনিস কল্পনা করা
পঞ্চমতঃ অন্যের সাথে তার রাগের কারণটা শেয়ার করা
কমাবার জন্য প্রথম যে জিনিসটা দরকার তা হলঃ
প্রথমতঃ আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং আত্মসচেতনতা
দ্বিতীয়তঃ কথাবার্তা বলা
তৃতীয়তঃ পত্রিকা বা ম্যাগাজিন পড়া
চতুর্থতঃ পছন্দমত সুন্দর সুন্দর জিনিস কল্পনা করা
পঞ্চমতঃ অন্যের সাথে তার রাগের কারণটা শেয়ার করা
এই ক্ষেত্রে ব্যক্তির কাছের মানুষরা কি করবেন? ভয় পাবেন না ও উল্টা রাগারাগিও করবেন না। (যদিও সেটা অনেক টাফ একটা ব্যাপার!)
সেই সময় কাছের মানুষদের উচিৎ, ব্যক্তি যখন রেগে যান, তখন সবাই মাথা ঠান্ডা রেখে চুপ করে থাকা। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হলে যুক্তি দিয়ে বুঝানো!
তারপরও যদি ব্যক্তি অতিরিক্ত ঘন ঘন কারণ ছাড়া রেগে যান, তাহলে বুঝতে হবে তার কোন ধরনের মানসিক রোগ বা মুড ডিজঅর্ডার থাকতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের মানসিক রোগ যেমন, সিজোফ্রেনিয়া, ড্রাগ এডিকশন, ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার ইত্যাদি ব্যক্তিদেরও প্রচন্ড রাগ থাকতে পারে!!
সেই সময় কাছের মানুষদের উচিৎ, ব্যক্তি যখন রেগে যান, তখন সবাই মাথা ঠান্ডা রেখে চুপ করে থাকা। এরপর কিছুটা স্বাভাবিক হলে যুক্তি দিয়ে বুঝানো!
তারপরও যদি ব্যক্তি অতিরিক্ত ঘন ঘন কারণ ছাড়া রেগে যান, তাহলে বুঝতে হবে তার কোন ধরনের মানসিক রোগ বা মুড ডিজঅর্ডার থাকতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের মানসিক রোগ যেমন, সিজোফ্রেনিয়া, ড্রাগ এডিকশন, ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার ইত্যাদি ব্যক্তিদেরও প্রচন্ড রাগ থাকতে পারে!!
তাই দেরি না করে ভাল একজন মনোরোগ স্পেশালিস্ট দেখানো যেতে পারে! উল্লেখ্য, মেডিসিন এবং ইনজেকশনে রাগ কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে সেটি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক।
সুতরাং অহেতুক রাগ না করে মনটাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিন। মন আমাদেরকে, কি...!!! নিয়ন্ত্রণ করবে!
আমরাই বরং মনটাকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করব!
ওই যে কথায় বলে না, রেগেছো তো হেরেছো!!!
আমরাই বরং মনটাকে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করব!
ওই যে কথায় বলে না, রেগেছো তো হেরেছো!!!
সো........
নো রাগারাগি !!! নো হারাহারি!!
নো রাগারাগি !!! নো হারাহারি!!
No comments:
Post a Comment