আপনি জেনে অবাক হবেন, অনেক শিশুই পড়তে চায় না এক ধরনের রোগের কারণে!
অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানটিকে নিয়ে বেশ দুঃশচিন্তায় ভূগে থাকেন! প্রায়ই তারা তাদের সন্তানটিকে নিয়ে অভিযোগ করেন, বকাঝকা করেন! সন্তানটিকে হতাশ করে দেয়ার সাথে সাথে নিজেরাও হতাশ হয়ে পড়েন! পরিনামে সেই বাচ্চাটির স্কুল এবং পড়াশুনায় এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি হয়! একটা সময় লেখাপড়ায় ড্রপ আউটের খাতায় নাম লেখা হয়ে যায়!
অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানটিকে নিয়ে বেশ দুঃশচিন্তায় ভূগে থাকেন! প্রায়ই তারা তাদের সন্তানটিকে নিয়ে অভিযোগ করেন, বকাঝকা করেন! সন্তানটিকে হতাশ করে দেয়ার সাথে সাথে নিজেরাও হতাশ হয়ে পড়েন! পরিনামে সেই বাচ্চাটির স্কুল এবং পড়াশুনায় এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি হয়! একটা সময় লেখাপড়ায় ড্রপ আউটের খাতায় নাম লেখা হয়ে যায়!
আমাদের দেশে অনেক শিশুই এ ধরনের রোগে ভুগে থাকে! অদ্ভুত এ রোগটির নাম "ডিসলেক্সিয়া"!!
মজার বিষয় হল, এ রোগের চিকিৎসায় কোন ওষুধের প্রয়োজন নেই! তবে এটি নির্ণয় করাটা একটু কঠিন বৈকি! এখন আসি, ডিসলেক্সিয়া আসলে কি? ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব নিওরোলজিস্টের মতে, এটি শিশুদের একটি সমস্যা। এখানে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা ঠিক থাকা স্বত্ত্বেও তারা কোন কিছু লেখা বা পড়ায় সমবয়সী বা অন্য শিশুদের মত সক্ষম হয় না। ভাল শিক্ষক বা ভাল স্কুলে পড়লেও তারা পড়াশুনায় পিছিয়ে যায়! অথচ বুদ্ধির দিক দিয়ে এদের কোন ঘাটতি থাকে না! আমরা যা কিছু দেখি সেটা আমাদের ব্রেইনে গেঁথে যায়, যার জন্য আমরা অনেক কিছুই না দেখেও ইমাজিনিশানের উপর ভিত্তি করেও বলে দিতে পারি। আমরা চারপাশের জিনিস গুলিকে আলাদা ভাবে চিনতে পারি। যেমন কোন পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে বলে দিতে পারি, কে! কিন্তু ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা তা পারে না। তাদের ব্রেইন এ ক্ষমতাটি হারিয়ে ফেলে! ফলে বর্ণমালার অক্ষরগুলিকে ঠিকভাবে চিনতে পারে না, বা উল্টা পাল্টা দেখে। এমনকি অনেক চেষ্টা করেও টিচারের লেকচার বুঝতে পারে না। যার কারণে এরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে যায়! একসময় পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষকদের রোষানলে পড়ে এবং তারা নিজেদের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে! যেহেতু তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা বা দিক নির্দেশনা পায় না, তাই তারা বড় হয়ে বিষন্নতা, হতাশায় ভোগে। এদের মধ্যে প্রচন্ড স্কুল ভীতি কাজ করে। এদের কোন চোখের, কানের বা মানসিক বিকার গ্রস্থতা থাকে না।
এখন আসা যাক ডিসলেক্সিয়ার কারনটা বা ধরনটা কি ধরনের হতে পারে সে ব্যাপারে!
আঘাতজনিত ডিসলেক্সিয়াঃ আমাদের ব্রেইনে একটা স্থান থাকে যা কিনা কোন কিছু শেখা বা পড়ালেখাকে কন্ট্রোল করে। শিশুর জন্মের সময় ব্রেইনের ওই স্থানে আঘাত পেলে অনেক সময় এটি হতে পারে! তবে আধুনিক যুগে এ কারণটা খুবই কম দেখা যায়।
প্রাথমিক ডিসলে্ক্সিয়াঃ এ ক্ষেত্র ব্রেইনের বাম দিকটা কোন কারন ছাড়াই কোন কাজ করেনা। বয়স বাড়লেও এটি কাজ করেনা। ফলে বড় হলেও এরা লিখতে, পড়তে পারেনা। এবং বংশ পরম্পরায় এটি ছড়িয়ে পড়ে!
সেকেন্ডারী ডিসলেক্সিয়াঃ শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় হরমোন গত কারণে এ রোগটি হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ সমস্যাটি ভাল হয়ে যায়।
আঘাতজনিত ডিসলেক্সিয়াঃ আমাদের ব্রেইনে একটা স্থান থাকে যা কিনা কোন কিছু শেখা বা পড়ালেখাকে কন্ট্রোল করে। শিশুর জন্মের সময় ব্রেইনের ওই স্থানে আঘাত পেলে অনেক সময় এটি হতে পারে! তবে আধুনিক যুগে এ কারণটা খুবই কম দেখা যায়।
প্রাথমিক ডিসলে্ক্সিয়াঃ এ ক্ষেত্র ব্রেইনের বাম দিকটা কোন কারন ছাড়াই কোন কাজ করেনা। বয়স বাড়লেও এটি কাজ করেনা। ফলে বড় হলেও এরা লিখতে, পড়তে পারেনা। এবং বংশ পরম্পরায় এটি ছড়িয়ে পড়ে!
সেকেন্ডারী ডিসলেক্সিয়াঃ শিশু গর্ভে থাকা অবস্থায় হরমোন গত কারণে এ রোগটি হতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ সমস্যাটি ভাল হয়ে যায়।
এখন আসি আপনি কি ভাবে বুঝবেন আপনার সন্তানের এ রোগটির কথা!
বইয়ের পাতার অক্ষর গুলি শিশু সাধারণতঃ উল্টা পাল্টা দেখে। ৭/৮ বছর বয়স পর্যন্ত তার এ সমস্যা থাকতে পারে। তারা স্কুলের বোর্ডে দেখে দেখে খাতায় লিখতে অসুবিধা বোধ করে। তারা তাদের পছন্দের গল্পটিও বলতে পারার ক্ষমতা হারায়। কোন কিছুর সাথে এরা তাল মেলাতে পারেনা। এমনকি মিউজিকের সাথেও! এরা ২ হাতেই শক্তি প্রয়োগ করে থাকে। কোন কিছু শুনে মনে রাখতে পারেনা। কয়েকটি বাক্য বলার সময় মাঝের কিছু বাক্য তারা হারিয়ে ফেলে। এভাবে আস্তে আস্তে তারা বিষন্ন হয়ে পড়ে এবং স্কুল তাদের কাছে একটি ভীতিকর ব্যপার হয়ে পড়ে।
বইয়ের পাতার অক্ষর গুলি শিশু সাধারণতঃ উল্টা পাল্টা দেখে। ৭/৮ বছর বয়স পর্যন্ত তার এ সমস্যা থাকতে পারে। তারা স্কুলের বোর্ডে দেখে দেখে খাতায় লিখতে অসুবিধা বোধ করে। তারা তাদের পছন্দের গল্পটিও বলতে পারার ক্ষমতা হারায়। কোন কিছুর সাথে এরা তাল মেলাতে পারেনা। এমনকি মিউজিকের সাথেও! এরা ২ হাতেই শক্তি প্রয়োগ করে থাকে। কোন কিছু শুনে মনে রাখতে পারেনা। কয়েকটি বাক্য বলার সময় মাঝের কিছু বাক্য তারা হারিয়ে ফেলে। এভাবে আস্তে আস্তে তারা বিষন্ন হয়ে পড়ে এবং স্কুল তাদের কাছে একটি ভীতিকর ব্যপার হয়ে পড়ে।
মা-বাবার করণীয়ঃ শিশুর এ সমস্যা দুর করতে মা-বাবাকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হয়। প্রয়োজনে শিশুর ক্লাস টিচারের সাথে কথা বলুন। শিশুকে কোন গালমন্দ, বা মারধোর করবেন না। প্রাইভেট টিউটরের বদলে তার প্রতি ভালবাসা, সহমর্মিতা বাড়িয়ে দিন। প্রয়োজনে কোন ভাল সাইকোলজিস্ট এর কাছে নিয়ে যান! এদেরকে কম, কম পড়তে দিতে হবে। হোমওয়ার্ক একটানা না করিয়ে কিছু বিরতি দিয়ে করানো যেতে পারে! ক্লাসের সময়ও বিরতি দিয়ে ক্লাস নেয়া যেতে পারে! সম্ভব হলে কম্পিউটারে ছবির মাধ্যমে পড়ানো যেতে পারে। যাতে সে আনন্দ পায়!
মনে রাখবেন, জীবনের জন্য লেখাপড়া, লেখাপড়ার জন্য জীবন নয়! আপনার শিশুকে চমৎকার একটা জীবন শুধুমাত্র আপনিই পারেন উপহার দিতে!
No comments:
Post a Comment