অনেকেই প্রতিদিন নিজের অজান্তেই অনেক সময় ব্যয় করে থাকেন ইন্টারনেটে! আপনি জেনে অবাক হবেন এটিও এক ধরনের এডিকশন, যেটিকে ইন্টারনেট এডিকশন ডিসঅর্ডার বা IAD বলা হয়। এই আইএডিকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন: গেইমিং, সোসাল নেটওয়ার্কিং, ব্লগিং, ইমেইল, ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি, ইন্টারনেট শপিং, ইত্যাদি। এখন আসা যাক এই আসক্তির পেছনে কি কি লক্ষণ থাকতে পারে..
১. মানসিক লক্ষণ: নিজেকে দোষী ভাবা, ডিপ্রেশন বা হতাশা, উদ্বিগ্নতা, অসততা, কাজের সিডিউল বজায়ে রাখতে না পারা, সময়ের ব্যাপারে উপলব্ধি লোপ পাওয়া, একাকীত্ব, আত্মপক্ষ সমর্থনে আক্রমণাত্মক মনোভাব, কাজ এড়িয়ে চলা
২. শারীরিক লক্ষণ: মাথাব্যথা, ওজন বাড়া বা কমা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা, অস্পষ্ট দৃষ্টি, দেখতে কষ্ট হওয়া
১. মানসিক লক্ষণ: নিজেকে দোষী ভাবা, ডিপ্রেশন বা হতাশা, উদ্বিগ্নতা, অসততা, কাজের সিডিউল বজায়ে রাখতে না পারা, সময়ের ব্যাপারে উপলব্ধি লোপ পাওয়া, একাকীত্ব, আত্মপক্ষ সমর্থনে আক্রমণাত্মক মনোভাব, কাজ এড়িয়ে চলা
২. শারীরিক লক্ষণ: মাথাব্যথা, ওজন বাড়া বা কমা, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটা, অস্পষ্ট দৃষ্টি, দেখতে কষ্ট হওয়া
এবার আসি আসক্তির স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের ব্যাপারে।
১. স্বল্পমেয়াদী: কাজ অসমাপ্ত রাখা, ভুলে যাওয়া, দায়িত্ব নিতে না পারা
২. দীর্ঘমেয়াদী: ব্যাকপেইন, ঘাড়ব্যথা, Carpal Tunnel Syndrome (নার্ভের ক্ষতি থেকে হাতের আঙুলে তীব্র ব্যথা), একটানা তাকিয়ে থাকা থেকে হওয়া দৃষ্টির সমস্যা
এইসব আসক্তির জন্য জীবনযাপনের মান অনেকক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা হ্রাস, ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি এমনকি ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। এছাড়াও সব সময় স্মার্টফোন বা পিসির মনিটরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের বিভিন্ন ধরণের নার্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যক্তি হাইপার একটিভ হয়ে পড়ে সব সময়, যা তার নিজের, পারিবারিক, সামাজিক সব ধরণের ক্ষেত্রেই নেগেটিভ প্রতিফলন ঘটায়!
১. স্বল্পমেয়াদী: কাজ অসমাপ্ত রাখা, ভুলে যাওয়া, দায়িত্ব নিতে না পারা
২. দীর্ঘমেয়াদী: ব্যাকপেইন, ঘাড়ব্যথা, Carpal Tunnel Syndrome (নার্ভের ক্ষতি থেকে হাতের আঙুলে তীব্র ব্যথা), একটানা তাকিয়ে থাকা থেকে হওয়া দৃষ্টির সমস্যা
এইসব আসক্তির জন্য জীবনযাপনের মান অনেকক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা হ্রাস, ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি এমনকি ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। এছাড়াও সব সময় স্মার্টফোন বা পিসির মনিটরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমাদের বিভিন্ন ধরণের নার্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্যক্তি হাইপার একটিভ হয়ে পড়ে সব সময়, যা তার নিজের, পারিবারিক, সামাজিক সব ধরণের ক্ষেত্রেই নেগেটিভ প্রতিফলন ঘটায়!
এখন জেনে নেই, এটিকে আইডেন্টিফাই করবেন কি ভাবে?
১. সাইলেন্স বা চুপ হয়ে যাওয়া: বাস্তব জগতের সামাজিকতা থেকে দূরে সরে যাওয়া, যখন অফলাইন হবেন তার কিছুক্ষণ পরেই অনলাইন হতে ইচ্ছে করা
২. মুড মডিফিকেশন: টলারেন্স বা অনলাইনে ধীরে ধীরে বেশীক্ষণ ধরে থাকার প্রবণতা বাড়া
৩. উইথড্রয়াল সিম্পটমস: যখন অফলাইন থাকবেন, তখন একধরণের আনপ্লেযেন্ট বা নিরানন্দ ভাব হবে, মনের ভেতর শেকিনেস, মুডিনেস, বিরক্তি ভাবের উদ্রেক হবে।
৪. কনফ্লিক্ট: বিভিন্ন ধরণের কনফ্লিক্টের সৃষ্টি হবে, যেমন: জব বা চাকুরীর ক্ষেত্রে, সামাজিক জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে, বা নিজের সাথেও কনফ্লিক্ট হতে পারে।
১. সাইলেন্স বা চুপ হয়ে যাওয়া: বাস্তব জগতের সামাজিকতা থেকে দূরে সরে যাওয়া, যখন অফলাইন হবেন তার কিছুক্ষণ পরেই অনলাইন হতে ইচ্ছে করা
২. মুড মডিফিকেশন: টলারেন্স বা অনলাইনে ধীরে ধীরে বেশীক্ষণ ধরে থাকার প্রবণতা বাড়া
৩. উইথড্রয়াল সিম্পটমস: যখন অফলাইন থাকবেন, তখন একধরণের আনপ্লেযেন্ট বা নিরানন্দ ভাব হবে, মনের ভেতর শেকিনেস, মুডিনেস, বিরক্তি ভাবের উদ্রেক হবে।
৪. কনফ্লিক্ট: বিভিন্ন ধরণের কনফ্লিক্টের সৃষ্টি হবে, যেমন: জব বা চাকুরীর ক্ষেত্রে, সামাজিক জীবন রক্ষার ক্ষেত্রে, বা নিজের সাথেও কনফ্লিক্ট হতে পারে।
সাধারণত: সাইবার সেক্স, সাইবার রিলেশন, কম্পিউটার গেইমিং এগুলি ইয়াং এইজে হয়ে থাকে। তবে অনেকের আবার ব্যতিক্রমও হয়! কিছু অনলাইন গেইমিং, শপিং যে কোন সময় ইন্টারনেটে করা যায় বলে যখন তখন অনলাইন হতে ইচ্ছে করে। এটি মুলত: ব্যক্তিকে একধরনের ফিলিংস এনে দেয়, যেটিতে সে নিজেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভাবে এবং ব্যক্তি এক্সাইটেড থাকে, যা পরবর্তীতে তার অভ্যাসে পরিণত হয় মনের অজান্তেই!
মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন স্কেলে এই আসক্তির মাত্রা নির্ণয় করতে পারেন। যেমন: চেইন ইন্টারনেট এডিকশন স্কেল, কমপালসিভ ইন্টারনেট ইউজ স্কেল, প্রব্লেমেটিক এন্ড রিস্কি ইন্টারনেট ইউজ স্কেল, ইত্যাদি।
মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন স্কেলে এই আসক্তির মাত্রা নির্ণয় করতে পারেন। যেমন: চেইন ইন্টারনেট এডিকশন স্কেল, কমপালসিভ ইন্টারনেট ইউজ স্কেল, প্রব্লেমেটিক এন্ড রিস্কি ইন্টারনেট ইউজ স্কেল, ইত্যাদি।
এখন আসি এই আসক্তি থেকে কি ভাবে ফিরে আসা যায়।
১. বিভিন্ন ধরণের সফ্টওয়্যার দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং কন্ট্রোল করা অর্থাৎ, কনটেন্ট কনট্রোল সফটওয়্যার ব্যবহার
২. কাউন্সেলিং
৩. কগনেটিভ বিহেভিয়রাল থ্যেরাপী
৪. আত্ম-সচেতনতা ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণ
১. বিভিন্ন ধরণের সফ্টওয়্যার দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং কন্ট্রোল করা অর্থাৎ, কনটেন্ট কনট্রোল সফটওয়্যার ব্যবহার
২. কাউন্সেলিং
৩. কগনেটিভ বিহেভিয়রাল থ্যেরাপী
৪. আত্ম-সচেতনতা ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণ
এবারে স্মার্টফোন এডিকশন বিষয়ে কিছু কথা!
অনেকেই সাধারনতঃ Nomophobia রোগে (মোবাইল ফোন ছাড়া থাকার আতংক) আক্রান্ত হন। অযথা ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া, অপশন বা নেটওয়ার্ক চেকিং, অনলাইন হওয়া চাই! বুঝতেই পারেন না এটিও যে এক ধরণের আসক্তি। বিভিন্ন ধরণের কারণও রয়েছে এটির জন্য। যেমন: যদি ব্যক্তি তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে আইসোলেশনে (একাকীত্ব) থাকেন বহুদিন, যদি তিনি ভাবেন তার জীবনে কেউ নেই, যদি মনের ভেতর কাউকে বা কোন কিছু হারাবার ভয় জন্মে, কখনও অতিমাত্রায় এনজাইটি বা প্যানিক (উদ্বেগ-আতঙ্ক) ফিল করেন।
অনেকেই সাধারনতঃ Nomophobia রোগে (মোবাইল ফোন ছাড়া থাকার আতংক) আক্রান্ত হন। অযথা ফোন নিয়ে নাড়াচাড়া, অপশন বা নেটওয়ার্ক চেকিং, অনলাইন হওয়া চাই! বুঝতেই পারেন না এটিও যে এক ধরণের আসক্তি। বিভিন্ন ধরণের কারণও রয়েছে এটির জন্য। যেমন: যদি ব্যক্তি তার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে আইসোলেশনে (একাকীত্ব) থাকেন বহুদিন, যদি তিনি ভাবেন তার জীবনে কেউ নেই, যদি মনের ভেতর কাউকে বা কোন কিছু হারাবার ভয় জন্মে, কখনও অতিমাত্রায় এনজাইটি বা প্যানিক (উদ্বেগ-আতঙ্ক) ফিল করেন।
স্মার্ট ফোন আসক্তির কিছু প্রভাব এবারে দেখা যাক:
ভার্চুয়াল রিলেশনসিপ: এটির মাধ্যমে সোসাল নেটওয়ার্কিং এডিকশন হতে পারে। ডেটিং অ্যাপস, টেক্সটিং, মেসেজিং ইত্যাদির মাধ্যমে বাস্তব সম্পর্ক বাদ হয়ে ভার্চুয়াল সম্পর্ক হতে পারে।
অনলাইন কম্পালশন: গেমিং, গ্যাম্বলিং, স্টক ট্রেডিং, অনলাইন শপিং ইত্যাদি এডিকশন হতে পারে।
ইনফরমেশন ওভারলোড: বেশী বেশী ওয়েব সার্ফিং, ভিডিও দেখা, গুগলে বেশী বেশী যাওয়া, বিভিন্ন অহেতুক জিনিস সার্চ করা, ইত্যাদি হতে পারে। যা বাস্তব হবি থেকে ভার্চুয়াল হবিতে পরিণত হয়, যেটা এ্যলার্মিংও বটে! আর এটির ফলাফল বিপদজনক!
ভার্চুয়াল রিলেশনসিপ: এটির মাধ্যমে সোসাল নেটওয়ার্কিং এডিকশন হতে পারে। ডেটিং অ্যাপস, টেক্সটিং, মেসেজিং ইত্যাদির মাধ্যমে বাস্তব সম্পর্ক বাদ হয়ে ভার্চুয়াল সম্পর্ক হতে পারে।
অনলাইন কম্পালশন: গেমিং, গ্যাম্বলিং, স্টক ট্রেডিং, অনলাইন শপিং ইত্যাদি এডিকশন হতে পারে।
ইনফরমেশন ওভারলোড: বেশী বেশী ওয়েব সার্ফিং, ভিডিও দেখা, গুগলে বেশী বেশী যাওয়া, বিভিন্ন অহেতুক জিনিস সার্চ করা, ইত্যাদি হতে পারে। যা বাস্তব হবি থেকে ভার্চুয়াল হবিতে পরিণত হয়, যেটা এ্যলার্মিংও বটে! আর এটির ফলাফল বিপদজনক!
অতিমাত্রায় স্মার্ট ফোন ব্যবহারের ফলে আমাদের বাস্তব জগতের লোনলিনেস ও ডিপ্রেশন বেড়ে যেতে পারে। এনজাইটি, ওরিডনেস, স্ট্রেস বা মানসিক চাপ, কনসেনট্রেট করার ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা নষ্ট হওয়া, ঘুমের ব্যাহত হওয়া, বিভিন্ন ধরণের সেল্ফ অবজারভেশন যার জন্য নেগেটিভ পারসোনালিটি, আত্মকেন্দ্রিকতা, রেস্টলেস অবস্থা, অতিরিক্ত রাগ, বিরক্তি, মনোযোগের অভাব, নারসিসিজম ইত্যাদি হতে পারে।
এখন আসি কি ভাবে নিজেকে ঠিক করবেন!
বাস্তবিক ভাবে সামাজিক হোন, সামাজিকতা রক্ষা করুন! কারণ মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। মনের জোর বাড়ান। প্রকৃত বন্ধু বাড়ান। যদি আগে কখনও কোন ড্রাগ এডিকশনের হিস্ট্রী থাকে, সেটির চিকিৎসা করান। পরিবারের সাথে থাকুন সবসময়। ছোট বেলাকার হবিগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখুন।
কাউন্সেলিং, বিহেভিওরাল থ্যেরাপী নিন। অন্যদের কাছে বিশেষ করে শিশুদের রোল মডেল হওয়ার চেষ্টা করুন। ফোন ফ্রি জোন তৈরী করুন। অন্যকে ভাল কাজের জন্য উৎসাহিত করুন। বাচ্চার সাথে মিশুন ও কথা বলুন প্রাণভরে।
বাস্তবিক ভাবে সামাজিক হোন, সামাজিকতা রক্ষা করুন! কারণ মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব। মনের জোর বাড়ান। প্রকৃত বন্ধু বাড়ান। যদি আগে কখনও কোন ড্রাগ এডিকশনের হিস্ট্রী থাকে, সেটির চিকিৎসা করান। পরিবারের সাথে থাকুন সবসময়। ছোট বেলাকার হবিগুলোকে নেড়েচেড়ে দেখুন।
কাউন্সেলিং, বিহেভিওরাল থ্যেরাপী নিন। অন্যদের কাছে বিশেষ করে শিশুদের রোল মডেল হওয়ার চেষ্টা করুন। ফোন ফ্রি জোন তৈরী করুন। অন্যকে ভাল কাজের জন্য উৎসাহিত করুন। বাচ্চার সাথে মিশুন ও কথা বলুন প্রাণভরে।
আপনার হতাশা, বিষণ্ণতা, দুঃখ-কষ্ট থাকতেই পারে। এটি জীবনের অংশ। তাই বলে এটি দূর করার বদলে আরেকটি অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়া কারোরই কাম্য নয়! মনে রাখবেন যেকোন এডিকশনেরই শুধুমাত্র বাহানার প্রয়োজন হয়! সো আর বাহানাও নয়, এডিকশনও নয়! নিজে সুস্থভাবে জীবন যাপন করুন ও পরিবারের সবার সুস্থতা নিশ্চত করুন!
No comments:
Post a Comment